পেকুয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে অভিযান চালিয়ে তিনটি দেশীয় তৈরী এলজি (লোকাল গান) অস্ত্রসহ দুই জনকে আটক করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে, অস্ত্রগুলো মহেশখালী থেকে সংগ্রহ করে লক্ষীপুরে পাচারের চেষ্টা করছিল।

রবিবার (১৭ আগস্ট ) সকাল ৮টার দিকে পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে পেকুয়া-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন এসআই (নিঃ) সুনয়ন বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন একটি চৌকস পুলিশ দল। কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফউদ্দীন শাহীন-এর দিকনির্দেশনায় এবং পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জের তত্ত্বাবধানে এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়।

অভিযান চলাকালে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে ১৭ বছর বয়সী কিশোর রবিউল হাসানকে আটক করা হয়। তার পিতার নাম মিজান ও মাতার নাম রোকেয়া বেগম। সে লক্ষীপুর সদর থানার ৮নং ওয়ার্ড, লামছড়ি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে একই উপজেলার তের বেপারী সোনামিয়া মাস্টার বাড়িতে বসবাস করছিল।

তল্লাশির সময় তার সঙ্গে থাকা নেভি ব্লু রঙের একটি স্কুল ব্যাগ থেকে একটি কম্বলের ভেতরে মোড়ানো অবস্থায় তিনটি দেশীয় তৈরী এলজি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

রবিউলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী হৃদয় হোসেন (২২) কে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্যারটেক এলাকা থেকে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। হৃদয়ের পিতার নাম ইলিয়াস হোসেন ও মাতার নাম নুরজাহান বেগম। সে লক্ষীপুর সদর থানার ৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর খেরু বাড়ির বাসিন্দা।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে লক্ষীপুরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল এসব অস্ত্র উচ্চমূল্যে বিক্রির মাধ্যমে একটি অবৈধ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া।

পেকুয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “অস্ত্র ও মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলবে। জেলায় সন্ত্রাস ও অপরাধ নির্মূলে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”